ধর্ষক কেন বেঁচে থাকবে, তমা মির্জার প্রশ্ন
আপলোড সময় :
১৩-০৩-২০২৫ ০৮:৫৪:৩৩ অপরাহ্ন
আপডেট সময় :
১৩-০৩-২০২৫ ০৮:৫৪:৩৩ অপরাহ্ন
মাগুরার নির্যাতিত শিশুটির মৃত্যুর বিষয়টি নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়াসহ বিভিন্ন মাধ্যমে নারীদের নিরাপত্তা এবং ধর্ষকের বিচার নিয়ে তীব্র দাবি উঠেছে। ধর্ষণের ঘটনায় জড়িতদের কঠোর শাস্তি দাবি করছেন অনেকেই। দেশের অনেক তারকারাও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ বিষয়ে কথা বলছেন। শোবিজ অঙ্গনের জনপ্রিয় মুখ তমা মির্জাও প্রশ্ন তুলে বললেন, ধর্ষক কেন বেঁচে থাকবে?
শিশুটির মৃত্যুর সংবাদ প্রচারের পর ফেসবুকে একটি পোস্ট করেন ঢাকাই সিনেমার দর্শকপ্রিয় অভিনেত্রী তমা মির্জা। তিনি ফেসবুক পোস্টে ধর্ষকের বিচারের বিষয়টি তুলে ধরেন।
বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) দুপুরে নিজের ফেসবুকে শিশুটির মৃত্যুসংবাদ শেয়ার দিয়ে তমা লিখেছেন, ‘শোনেন, পশু ধরে রেখে দেয় না মেরে ফেলে, আবর্জনা পরিষ্কার করে ফেলতে হয় রেখে দিয়ে দুর্গন্ধ ছড়াতে হয় না। দশ/বিশজন পশুরূপী অমানুষ না থাকলে আমাদের দেশের জনসংখ্যা কমবে না।’ ধর্ষকের শাস্তির বিষয়ে অভিনেত্রী বলেন, ধর্ষক কেন বেঁচে থাকবে? হয় সঙ্গে সঙ্গে মারেন, না পারলে সাধারণ জনগণের কাছে দিয়ে দেন, কিন্তু বাঁচিয়ে রেখেন না।
গত ৬ মার্চ মাগুরা শহরে বোনের বাড়ি বেড়াতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার হয় ওই শিশুটি। পরের দিন তাকে মাগুরা ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে ওই দিন দুপুরেই উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখান থেকে রাতেই পাঠানো হয় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। এরপর শুক্রবার রাতে তাকে লাইফ সাপোর্টে নেয়া হয়।
সংকটাপন্ন শিশুটিকে গেল শনিবার সন্ধ্যায় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পেডিয়াট্রিক ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট (পিআইসিইউ) থেকে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। পরদিন রবিবার শিশুটিকে সিএমএইচে পেডিয়াট্রিক আইসিইউতে নেওয়া হয়। ধর্ষণের ওই ঘটনায় শিশুটির বোনের শ্বশুর, শাশুড়ি, দুলাভাই ও দেবরকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। পরে চার আসামিকে হেফাজতে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি পেয়েছে পুলিশ।
মন্তব্যের ঘরে অনুসারীদের অনেকে তমার সঙ্গে সহমত পোষণ করেছেন। একজন লিখেছেন, আমার বোন কবরে ধর্ষক কেন বাহিরে। অন্য একজন লিখেছেন, বলার কিছু নেই।
ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালের (সিএমএইচ) শিশু বিভাগের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (পিআইসিইউ) লাইফ সাপোর্টে থাকা মাগুরায় শিশুটি মারা যায়। বৃহস্পতিবার দুপুরে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ থেকে বিষয়টি জানানো হয়েছে।
পোস্টে জানানো হয়েছে, অত্যন্ত দুঃখ ভারাক্রান্ত হৃদয়ে জানানো যাচ্ছে যে, মাগুরায় নির্যাতিত শিশুটি আজ ১৩ মার্চ ২০২৫ তারিখে দুপুর ১টায় সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল, ঢাকায় শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেছে (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালের (সিএমএইচ) সর্বাধুনিক চিকিৎসা ব্যবস্থা প্রয়োগ এবং বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা সত্ত্বেও তাকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি।
নিউজটি আপডেট করেছেন : mainadmin
কমেন্ট বক্স